প্রেমের টানে বাড়ি ছেড়েছিল সতরো বছরের নাবালিকা। কাঁটা তার পেরিয়ে এপারেও চলে আসছিল। কিন্তু ধরা পড়ে যায় সীমান্ত পুলিশের হাতে। পুলিশি জেরায় উঠে আসে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। নাবালিকা জানিয়েছিল, সে তার প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতেই সীমান্ত পেরিয়েছে। কিন্তু দুঁদে বিএসএফ কর্তারা বুঝে গিয়েছিলেন আসল কারণ কী? এর পিছনে রয়েছে এক গহীন রহস্য। আসলে মেয়েটি এক বড় বিপদের সম্মুখীন। বাংলাদেশ পুলিশের হাতে আটক উত্তর দিনাজপুরের নাবালিকা। বিজিবি বিএসএফের উপস্থিতিতে সীমান্তে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয় নাবালিকাকে। এর পিছনে আন্তর্জাতিক নারী পাচার চক্রের হাত রয়েছে বলে মনে করছেন তদন্তাকারীরা।
কাঁটাতার পেরিয়ে বাংলাদেশের পঞ্চগড়ে প্রবেশ করেছিল ভারতীয় তরুণী। উত্তর দিনাজপুরের হরিয়ানা গ্রামের খুসনামা নামে বছর সতেরোর ওই নাবালিকাকে আটক করে বাংলাদেশ পুলিশ। চোপড়া উত্তর দিনাজপুর জেলার হাপতিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের জিরো পয়েন্টে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড, ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর উপস্থিতিতে গোয়ালপোখর থানার পুলিশের মাধ্যমে পরিবারের হাতে তুলে দেন ওই নাবালিকাকে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই নাবালিকা ১৬ ফেব্রুয়ারি ভারতীয় মুড়িখাওয়া সীমান্ত এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। বাংলাদেশে প্রবেশের পরে তেতুঁলিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের সর্দার পাড়া গ্রামের হাসিনুর রহমান নামে এক ব্যাক্তির সঙ্গে পরিচয় হয়। পরে তিনি ওই তরুণীকে তাঁর বাড়িতে নিয়ে যান। এদিকে বাংলাদেশের তেতুঁলিয়া মডেল থানার পুলিশ খবর পেয়ে ওই তরুনীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
এদিকে,বাড়ি থেকে মেয়ে নিখোঁজ হয়ে যাওয়ায় নাবালিকার পরিবার গোয়ালপোখর থানার দ্বারস্থ হয়। পুলিশ বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করে নাবালিকার বাংলাদেশে চলে যাওয়ার কথা জানতে পারে। অবশেষে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর উপস্থিতিতে এবং গোয়ালপোখর থানা পুলিশের উপস্থিতিতে দেশে ফিরিয়ে আনা হয় ওই নাবালিকাকে। এই ঘটনার সঙ্গে আন্তর্জাতিক নারী পাচার চক্র জড়িত থাকার আশঙ্কা করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। যদিও কীভাবে ওই নাবালিকা সীমান্ত পেরিয়ে ভিনদেশে প্রবেশ করল, তা খতিয়ে দেখছে বিএসএফ ও পুলিশ।