নবাব মল্লিক (দক্ষিণ ২৪ পরগণা): ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের পর কেটে গিয়েছে দু’মাসের বেশি সময়। দুর্যোগে প্রচুর মানুষ হারিয়েছিল ভিটে-মাটি। সুন্দরবনের নামখানা ব্লকের বিচ্ছিন্ন মৌসুনি দ্বীপের পয়লাঘেরি এলাকার দশটি পরিবার এখনও বাড়িতে ফিরতে পারেননি। কারণ, পূর্ণিমার কোটাল ও ইয়াসের জোড়া ফলায় বটতলা নদী ও বঙ্গোপসাগরে ঢেউ ধুয়েমুছে সাফ করে দিয়েছে উপকূলের বাড়িঘরগুলো। তারপর থেকেই ফ্লাড সেন্টারে দিন কাটছে দশটি পরিবারের সদস্যরা। আর একটি পরিবার ফ্লাড সেন্টার থেকে ফিরে গাছের উপর মাচা করে ঠাঁই নিয়েছে।
মধ্য পঞ্চাশের ইউনুস মল্লিক পাঁচজন পরিবারের জন্য এখন ওই মাচাই ভরসা। দুটি খেঁজুর গাছের মধ্যে তক্তপোশ দিয়ে এই মাচা বানিয়ে নিয়েছে মল্লিক পরিবার। চারিদিকটা ঘেরা তার্পোলিন আর চট দিয়ে। দশ ফুট উচুঁর এই মাচাতে উঠতে বাশের সিঁড়ি ব্যবহার করেন সকলে। উপরে মানুষ আর নীচে বাড়ির পোষ্যরা। ভরা বর্ষায় জলের ঝাটে বারে বারে বেসামাল হয়ে যায় ইউনুস পরিবারের মাচা। তার উপর সাপ ও পোকামাকড়ের ভয় রয়েছে। কিন্তু নিরুপায় মল্লিক পরিবার। এই খবর পাওয়ায় তড়িঘড়ি ওই পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়িয়েছে ব্লক প্রশাসন। প্রতিটি পরিবারকে আলাদা করে চাল, ত্রিপল দেওয়া হয়েছে। ইয়াসের ক্ষতিপূরণের টাকাও পাবে পরিবারগুলি।
নামখানার বিডিও শান্তনু সিংহ ঠাকুর বলেন, ‘ইয়াসে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে মৌসুনিতে। তারপরও চলছে টানা বৃষ্টি ও কোটাল। ওই পরিবারগুলিকে নতুন করে বাড়ি তৈরি করে দেওয়া যাচ্ছে না। তবে চাল, ত্রিপল দেওয়া হয়েছে। বাড়ি ভাঙার ক্ষতিপূরণও পাবে। এছাড়া সরকারি আবাস প্রকল্পে বাড়ি তৈরির জন্য আবেদন করতে বলা হয়েছে। আবেদন পেলেই অনুমোদন দেওয়া হবে।’