সোমনাথ আদক, satsakal.com:
হুইল চেয়ার থাকলেও ব্যবহার করতে পারে না পারভেজ। কেননা গ্রামের রাস্তা এতটাই খারাপ। তাই এক পায়ে লাফিয়ে লাফিয়েই স্কুলে যায় কাশ্মীরের ১৪ বছরের পারভেজ। যার ইচ্ছে শক্তির কাছে হার মেনেছে শারীরিক প্রতিবন্ধকতা। বিহারের সীমার পর সম্প্রতি নেট মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে পারভেজের এই ভিডিও।
সম্প্রতি নেট মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গেছে ১৪ বছরের পারভেজ স্কুলের পোশাক পরে এক পায়ে লাফিয়ে লাফিয়ে স্কুলে যাচ্ছে। কাশ্মীরের নওগাম মাওয়েরের পারভেজ আহমেদ হাজম নবম শ্রেণির ছাত্র। এক পায়ে লাফিয়ে লাফিয়ে প্রতিদিন ২ কিলোমিটার রাস্তা পেরিয়ে স্কুলে যায়। আবার একইভাবে বাড়ি ফেরে। হুইল চেয়ার থাকলেও গ্রামের রাস্তা এতটাই খারাপ ব্যবহার করতে পারে না সে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিয়ো সকলের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে ইচ্ছা থাকলে, সবকিছুই করা সম্ভব। এক পা না থাকলেও হার স্বীকার করেনি পারভেজ। জানা গেছে, মাত্র ২ বছর বয়সে একটি দুর্ঘটনা কেড়ে নিয়েছে তার একটি পা। সেই থেকে শুরু এক পায়ে চলা। তারপর থেকে হাজার প্রতিকূলতা এক পায়ে পেরিয়ে চলেছে কাশ্মীরি কিশোর পারভেজ আহমেদ হাজম। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল সেই ভিডিয়ো দেখে পারভেজের লড়াইকে স্যালুট জানিয়েছে গোটা দুনিয়া।
পারভেজ জানিয়েছে, আমার যদি একটি নকল পা থাকত তাহলে এই রাস্তা দিয়ে আমিও হেঁটেই পৌঁছে যেতে পারতাম স্কুলে। কারণ এই রাস্তায় হুইলচেয়ার নিয়ে যাতায়াত করা যায় না। এর ফলে আমাকে এভাবেই যাতায়াত করতে হয়।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই বিহারের জামুই জেলার ১০ বছরের সীমার একটি ভিডিও নেট মাধ্যমে ভাইরাল হয়। সেই ভিডিওতে দেখা যায় স্কুলের পোশাক পরা সীমা, পীঠে বইয়ের ব্যাগ নিয়ে এক পায়ে লাফিয়ে লাফিয়ে স্কুলে যাচ্ছে। ওই ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরেই সীমার পাশে দাঁড়িয়েছিল, বিহার প্রশাসন। সীমার লড়াইকে ট্যুইট করে কুর্নিশ জানিয়েছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল থেকে সোনু সুদ। সোনু সুদ ট্যুইটে লেখেন, সীমার এক পায়ে চলার দিন শেষ। এবার দুপায়ে স্কুলে যাবে সীমা। কথা রেখেছিলেন বলিউডের মসীহা।
পারভেজও বলেছে, নকল পা থাকলে হেঁটেই স্কুলে যেতে পারত ও। এখন পারভেজের দিকে কেউ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় কিনা সেটাই দেখার।