সোমনাথ আদক | satsakal.com:
শুক্রবার প্রেসক্লাবে সাংবাদিক বৈঠক করেন রূপঙ্কর। কেকের মৃত্যুতে তার পরিবার এবং অনুরাগীদের প্রতি সমবেদনা জানান। কিন্তু তাঁর ফেসবুকে পোস্ট করা সেই বিতর্কিত লাইভ ভিডিওটির জন্য একবারও ক্ষমা চাননি তিনি। যদিও সেই ভিডিও ডিলিট করে দিয়েছেন রূপঙ্কর। একথা নিজেই জানিয়েছেন তিনি।
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, কেকে-র মতো ভারতবিখ্যাত পারফর্মারের নামটা নিছক উপলক্ষ্য ছিল, লক্ষ্য কখনওই তিনি ছিলেন না। থাকার প্রশ্নও ওঠে না। কে জানত কেকে-র জন্য এই দুর্ঘটনা ওঁত পেতে রয়েছে। গান করতে এসে যেভাবে তিনি প্রাণ হারালেন তা অত্যন্ত হৃদয় বিদারক।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার নজরুল মঞ্চে কেকের অনুষ্ঠানের কয়েক ঘণ্টা আগে রূপঙ্কর বাগচী তাঁর ফেসবুক থেকে একটি লাইভ ভিডিও পোস্ট করেন। সেই ভিডিওতে তাকে বলতে শোনা যায়, কেকে , কেকে, হু ইজ কেকে। আমি কেকের থেকে ভালো গাই।
ওই লাইভ ভিডিওতে তিনি ইমন, সোমলতা, মনোময়ের মত বেশ কয়েকজন শিল্পির নামও নেন। কিন্তু তারাই কেকে-কে নিয়ে রূপঙ্করের বক্তব্যকে সমর্থন করেননি। উল্টে সমালোচনা করেন রূপঙ্করেরই। এর পাশাপাশি কেকে ভক্তরাও রূপঙ্করের পোস্ট নিয়ে আপত্তি জানায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় কার্যত কেকে অনুগামীরা তুলোধনা করে রূপঙ্করকে। তারপরেই মিও আমোরে তাদের বিজ্ঞাপনের জিঙ্গল থেকে তার গানটিকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। তারা জানায় রূপঙ্করের বক্তব্য দুঃখজনক। তারা তা সমর্থন করে না। আগামী দিনে রূপঙ্করের সঙ্গে তারা আর কাজ করবে না বলেও জানিয়ে দেয়। রূপঙ্করের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই শুধু কেকে ভক্তরাই নয় বাংলার সঙ্গীত অনুরাগীরাও কার্যত তাকে এক ঘরে করে দেয়। রূপঙ্করের অনুষ্ঠান বয়কট করারও আওয়াজ ওঠে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
তাই কি পশ্চিমবঙ্গের শ্রোতাদের মন পেতে উড়িষ্যা থেকে তড়িঘড়ি কলকাতায় ফিরে রূপঙ্করের প্রেস কনফারেন্স! কেকে অনুগামী ও তার পরিবারের কাছে সমবেদনা জানিয়ে ক্ষমা চাওয়া? প্রশ্ন তুলছে অনেকেই।